সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।

বাংলাদেশ কৃষকলীগ কক্সবাজার জেলা মডেল শাখার উদ্যোগে “কৃষক হত্যা দিবস” এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকাল ৪ টায় আলির জাহাঁল অস্হায়ী কার্যালয়ে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রশিদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক জাতীয় পরিষদ সদস্য এম.এ হাশেম, সহ-সভাপতি আনিসুল হক চৌধুরী, মোঃ জাকারিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রিয়াজ মোর্শেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোরশেদুল আলম খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক মো.শাহাদত হোসাইন,পণ্য ও ফসল বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গফুর হেলালি, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ ফারুক, জেলা সদস্য ইয়াকুব আলী ইমন, সদর উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন মুকুল, কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষকলীগ আহবায়ক কায়সার সিকদার,শহর কৃষকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মোস্তফা।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালে ১৫ মার্চ ফুলপুর উপজেলায় কৃষকরা সারের দাবী করেছিল, তৎকালীন বিএনপি সরকার সার দিতে না পেরে কৃষকদের উপর গুলী চালিয়েছিল। মারা গেলেন ১৮ কৃষক। তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে সারের জন্য আর দাবী করতে হবে না; সার কৃষকের হাতে হাতে পৌঁছে যাবে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার সেই ওয়াদা পালন করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশে সার, কীটনাশক কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ আন্দোলনরত কৃষকদের হত্যা করে তারা দেশের কৃষি খাতকে বিনষ্ট করে। লুটপাটের মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। নিজেরা অর্থবিত্তের মালিক হয়। এসব দেশবিরোধী, কৃষি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বাংলার কৃষক ভোটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এড.মোস্তাক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান বাচ্চু,উপ-দপ্তর সম্পাদক খান মোঃ নাছির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হারুন-০উর রশিদ, সদস্য আফলাতুন সিকদার, শফিউল হক রানা, শফিউল্লাহ শফি, ইমাম হোসেন, একরাম জুয়েল, ওয়াহেদ আল মারুফ, শহর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

এদিকে, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের শুরুতে ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ নিহত কৃষকদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভাশেষে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।